Description
কুঁড়ি থেকে গোলাপ যেমন ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে, যেভাবে কোনো কিশোরী একদিন হয়ে ওঠে পূর্ণযৌবনা নারী, এই কাব্যগ্রন্থের পদ্যগুলিও তেমনই এক সময়-বহু পাঠের শেষে- কবিতা হয়ে ওঠে। পাঠান্তে তারা পাঠককে দেয় এক অনাস্বাদিত, অপূর্ব অনুভব।
কোথায় শুনতে পাওয়া যাবে তার গান?
এই সময়ের বিশিষ্ট কবি প্রদীপ কুমার রায়ের কবিতায় ধরা পড়ে এক অব্যক্ত বেদনা। বিচিত্র বিষয়ক কবিতার মধ্যেও ফিরে ফিরে আসে এক খোঁজ। কবি খুঁজে ফেরেন তাঁর মনের মানুষ। সেই মনের মানুষকে কোথায় পাওয়া যাবে? তার রহস্যময় হাসি কি তুলনীয় মোনালিসার স্মিত হাস্যের সঙ্গে? কবি অপেক্ষা করে থাকেন কবে, কখন ওই কাজলনয়না হরিণীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যাবে। তৃষিতা চাতকীর মতো বৃষ্টি পাবে সেই মেয়ে। বিনিঝিনি ছন্দে বেজে উঠবে তার নূপুর। মনে হবে যেন সেতারের সুরে ঝরনা ঝরছে নিরন্তর। শরীরী প্রেম শরীর ছাপিয়ে রওনা দেবে এক অপার্থিব জগতের উদ্দেশে। মনের মানুষের সঙ্গে দেখা হতে হতেও শেষ পর্যন্ত দেখা হবে না আর কোনো দিনই।
এক মায়াবী আলোয় মাখা অপূর্ব সারল্যের বিস্তার এই বই জুড়ে। যেন এ কোনো কবিতা নয়, এ হল নদী, যা বাঁকে বাঁকে বদলে নেয় নিজেকে এবং সেইসঙ্গে নিজের অভিমুখ।







Reviews
There are no reviews yet.